শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
বিধিনিষেধ উঠতেই রাজশাহীর মানুষ ব্যস্ত কেনাকাটায়

বিধিনিষেধ উঠতেই রাজশাহীর মানুষ ব্যস্ত কেনাকাটায়

বিধিনিষেধ উঠতেই রাজশাহীর মানুষ ব্যস্ত কেনাকাটায়
বিধিনিষেধ উঠতেই রাজশাহীর মানুষ ব্যস্ত কেনাকাটায়

স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশে ন্যায় রাজশাহীতেও কঠোর লকডাউন ছিলো ১৪ দিন। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজশাহীতে লকডাউন ছিল তারও আগে থেকেই। সবমিলিয়ে একমাসেরও বেশি সময় রাজশাহীর মানুষ ছিলেন ঘরবন্দী। আর তাই বিধিনিষেধ উঠতেই গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মানুষ একরকম ছোটাছুটি শুরু করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার সকাল থেকে রাজশাহীতে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। শহরের রাস্তায় বেড়েছে যানবাহন। এত বেশি রিক্সা-অটোরিক্সা সব মিলিয়ে শহরের রাস্তায় দেখা দিচ্ছে যানজট। জট ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় পরিস্থিতি দেখে পদক্ষেপ নিচ্ছেন ঊর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারাও।

সকালে নগরীর রেলগেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রেলক্রসিং থেকে শালবাগান পর্যন্ত এলাকায় যানজট। এই অল্প একটু জায়গা পার হতেই সময় লাগছে ৫ থেকে ৭ মিনিট। নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে মনিচত্বর পর্যন্ত এলাকাটিতে রাস্তার দুই পাশেই রিক্সা-অটোরিক্সার জট। মাত্র দুই মিনিটের পথ পেরুতে সময় লাগছে ১০ থেকে ১৫ মিনিট।

সাহেববাজারের এই রাস্তার পাশেই নগরীর সবচেয়ে বড় আরডিএ মার্কেট। এখানকার ব্যবসায়ীরা মুখিয়ে ছিলেন দোকানপাট খোলার জন্য। বিধিনিষেধ চলাকালে এ দাবিতে তাঁরা রাস্তায় থালা নিয়ে বিক্ষোভও করেছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা দোকান খুলেছেন। আরডিএ মার্কেটে জমে উঠেছে বেচাকেনা।

নগরীর সব এলাকায় অন্যান্য দোকানপাটও খুলেছে। মহল্লার মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানগুলোতে আবার জমেছে আড্ডা। নগরীর রাস্তায় যেসব মানুষ বের হচ্ছেন তাঁদের মুখে মাস্ক থাকছে আবার অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।

এ নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছেন রাজশাহীর জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. চিন্ময় কান্তি দাস বলেন, ঈদুল ফিতরের পরই দেশে সংক্রমণ বেড়েছে। অবাধ চলাচলের সুযোগ করে দেয়ায় এখনও মূল্য দিতে হচ্ছে। এবার ঈদের আগে সবকিছু আবার ছেড়ে দেয়া হলো। এরও খারাপ প্রভাব থাকবে যদি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না যায়।

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম বলেন, বিধিনিষেধ শিথিল হলেও মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে তাঁরা তৎপর। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকেও বিষয়টি দেখভাল করা হচ্ছে। পাশাপাশি মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে পুলিশ-প্রশাসনের মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম অব্যহত আছে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply